শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
মাত্র দেশে ফিরলেন। মুম্বাইতে পা রাখার পরই শুনতে পেলেন সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার কথা। আর এর পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অক্ষয় কুমার।
অক্ষয় স্পষ্ট জানান, যৌন হেনস্থার মত মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি সাজিদ খানের সঙ্গে কাজ করবেন না। শুধু তাই নয়, ‘হাউজফুল ৪’-এর প্রযোজক যেন সাজিদকে এই সিনেমার পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেন। এমন আবেদনও করেন আক্কি।
অক্ষয় কুমারের ওই আবেদন প্রকাশ্যে আসার পরই ‘হাউজফুল ৪’ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাজিদ খান। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে হাজির হয়ে সাজিদ খান বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, তা আগে প্রমাণ হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে ‘হাউজ ফুল ৪’-এর পরিচালনা থেকে সরানোর জন্য তাঁর প্রযোজক এবং অভিনেতা বন্ধুরা যে আবেদন করেছেন, তা যথোপযুক্ত। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা যাতে তাঁর সম্পর্কে আগেভাগে কোনও বিচার না করেন, সেই আবেদনও জানান অক্ষয় কুমার।
সম্প্রতি পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে ওঠে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। সালোনি চোপড়া নামে এক মহিলার সঙ্গে ২০১১ সালে সাজিদ খান সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এবং অদ্ভূত প্রশ্ন করতে শুরু করেন। সাজিদ খান সালোনি চোপড়াকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কি হস্তমৈথুন করো? সপ্তাহে কতবার হস্তমৈথুন করো?’ শুধু তাই নয়, ‘তুমি কি কখনও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছ?’ বলেও সালোনিকে প্রশ্ন করেন ফারহা খানের ভাই সাজিদ খান। পাশাপাশি সালোনি কি কখনও শরীরের বিশেষ করে বক্ষে ছুরি কাঁচি চালিয়েছেন কি না বলেও প্রশ্ন করেন সাজিদ খান। সবিকিছু মিলিয়ে একটি সিনেমায় সাজিদ খানের সঙ্গে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এভাবেই বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় সালোনি চোপড়াকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর তোলপাড় শুরু হয়েছে বি টাউনে।
Leave a Reply